গাড়ি ছিনতাইয়ের পর যা করতো চক্রটি


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
গাড়ি ছিনতাইয়ের পর যা করতো চক্রটি
  • Font increase
  • Font Decrease

গাড়ি ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন -আজিম উদ্দিন (৩৮), রফিক উল্লাহ (২৬), সেলিম (৫০), কামরুল হাসান (২৬) ও ওমর ফারুক (২৫)। এর মধ্যে আজিম এই চক্রের প্রধান। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা তিনটি পিকআপ, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, তিনটি ছুরি, একটি চাইনিজ কুড়াল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গত ১১ আগস্ট রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে গাড়ি ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে গাড়ি ছিনতাই চক্রের প্রধান আজিমসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এই চক্রে ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে।

গত ৫-৬ বছর ধরে এই চক্রটি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটসহ নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক গাড়ি ছিনতাই/চুরি করেছে। এই চক্রের এক গ্রুপ প্রথমে ছদ্মবেশে গাড়ি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে অন্য গ্রুপের সদস্যরা গাড়ি ছিনতাই করে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের সদস্যরা গাড়ি চালানো ও মেকানিক কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। পার্কিং অবস্থায় গাড়ির লক ভেঙে অথবা চালককে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতো তারা। পরে চোরাই গাড়ি বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় লুকিয়ে রেখে গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। মালিক টাকার বিনিময়ে গাড়ি নিতে আগ্রহী না হলে রং পরিবর্তন করে বিক্রি করে কিংবা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করতো তারা। এভাবে চক্রটি শতাধিক গাড়ি বিক্রি করে কোটি টাকা আয় করে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস