ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে তিনি দেশটির জনগণের জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্ব যখন জীবন ও জীবিকার মারাত্মক ক্ষতির সঙ্গে ধ্বংসাত্মক মহামারির মধ্য দিয়ে চলছে, তখন ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেরা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছেন। তারা আমাদের কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আশা করছেন।’
বুধবার (১৬ জুন) ‘দ্বিতীয় ওআইসি সামিট অন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে’ বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ সংগঠন ওআইসির আয়োজনে এবারের সম্মেলনের মূল্য প্রতিপাদ্য ‘সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন: ওপেনিং নিউ হরাইজন।’
২০১৭ সালে প্রথমবার এই সামিট অনুষ্ঠিত হয় কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায়, যার বর্তমান নাম নুর সুলতান। ওই আয়োজনে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বারবার আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ দুর্গত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ, ওআইসি এবং বিশ্বের জন্য ক্রমাগত উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি ওআইসি ভ্রাতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সুরক্ষা এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।’
বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণা, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুসলিম বিশ্বকে বিজ্ঞানভিত্তিক জীবন গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনতে আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক জীবন গ্রহণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও আবিষ্কারের নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত করতে হবে। সুসংহত ও একনিষ্ঠভাবে গবেষণায় মনোনিবেশ করতে হবে। যাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বাস্তবতায় আমরা এগিয়ে থাকতে পারি।’
রাষ্ট্রপতি দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ‘গেইম চেঞ্জার’ উল্লেখ করে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাশিম-জোমার্ট তোকায়েভ, ওআইসি মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমদ আল- ওসাইমিনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের শুরুতে ওআইসি সামিট অন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নতুন চেয়ারম্যান সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে কাজাখস্তান।