আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল
কলকাতা বন্দরের উপর নির্ভরতা কমাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল। বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র নেতারা।
বৃহষ্পতিবার মতিঝিলের নিজস্ব ভবনে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র। এ সময় তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক মিল এবং অসাধারণ কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার পরেও, দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যে তার প্রতিফলন না থাকাটা দুঃখজনক।
রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, জলবিদ্যুৎ ও পণ্য বাণিজ্যে দু’দেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। জলবিদ্যুৎ খাতে ব্রাজিলের পর, নেপাল বিশ্বের ২য় শীর্ষ সম্ভাবনাময় দেশ জানিয়ে, এখাতে বাংলাদেশীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। জটিল শর্তের কারণে, নেপাল-বাংলাদেশের পণ্য বাণিজ্য ব্যহত হচ্ছে। এ সময়, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়। তূলনামূলক কম দামে বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানি করতে পারে নেপাল।
বিপুল পরিমাণ নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ছে উল্লেখ করে। দেশটিতে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি। রাষ্ট্রদূত বলেন, কাঠমান্ডু ছাড়া অন্য শহরে এ সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীদের নেপাল ভ্রমণে মাল্টিপল ভিসার নানান জটিলতার কথা উল্লেখ করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। বিবিআইএন মটর ভেহিকেল চুক্তি হলে, এসব জটিলতা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কলকাতা বন্দর ব্যবহারে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী নেপাল।
গঙ্গার পানি চুক্তি আলোচনায় নেপালকে রাখার আহ্বান জানিয়ে ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, শুষ্ক মৌসুমে এই নদীর দুই-তৃতীয়াংশ পানি নেপাল থেকে আসে।
২০১৫ সালে ভূমিকম্প এবং সাম্প্রতিক করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র।
অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও দুর্বলতা যাচাইয়ে গবেষণার তাগিদ দেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এমএ মোমেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।