করোনাভাইরাসের সব ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর বঙ্গভ্যাক্স, দাবি গ্লোব বায়োটেকের
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বঙ্গভ্যাক্স টিকা ডেল্টাসহ অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর ) গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টাসহ ১১টি ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন সময় সক্রিয় ছিল। আমরা এই ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইসিস করে আমাদের ভ্যাকসিনের সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখেছি প্রতিটি ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর। যার প্রমাণ মিলেছে বানরের পরীক্ষায়। প্রাথমিক ফলাফলে আমাদের টিকা বানরে নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এরপর আমরা ভ্যাকসিনেটেড বানরে করোনা ভাইরাসের ডেল্টাসহ অন্যান্য ভেরিয়েন্ট প্রয়োগ করে চ্যালেঞ্জ স্টাডি করেছি। ট্রায়ালের কাজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত যে ফলাফল সেটা ইতোমধ্যে আমরা পেয়ে গেছি। চূড়ান্ত ফলাফলে আমাদের টিকাটি ডেল্টাসহ অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ এই টিকার এক ডোজেই অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘উন্নত বিশ্ব করোনা মোকাবিলায় যে নতুন ভ্যাকসিনের কথা বলছে, আমরা গ্লোব বায়োটেক মনে করি, সেই নতুন ভ্যাকসিনটি হতে পারে বঙ্গভ্যাক্স! কারণ যখন এক বছর আগে প্রথম ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিল তখন করোনার এত রূপ আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে বর্তমানে প্রচলিত বেশিরভাগ ভ্যাকসিন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এমন অবস্থায় আমরা মন থেকে বিশ্বাস করি, বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিন বিশ্বকে এই করোনা সংকট থেকে উদ্ধার করবে।’
বঙ্গভ্যাক্সের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও অনুরূপভাবে কাজ করবে। তাই আমরা যদি এ টিকা মানবদেহে পরীক্ষা শেষে বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সারা বিশ্বে ডেল্টাসহ করোনার অন্যান্য ভেরিয়েন্টের যে মহামারি চলছে সেটা থেকে একমাত্র বঙ্গভ্যাক্সই পরিত্রাণ দিতে পারবে বলে আশা করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমাদের টিকাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর একটি ডোজেই অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আমরা আশা করছি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি +৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং -২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এটি সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাস মুক্ত এবং শতভাগ হালাল।