করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ক্যাপসুল এনেছে বেক্সিমকো, স্কয়ার ও এসকেএফ


প্রকৌশল প্রতিবাদক :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ক্যাপসুল এনেছে বেক্সিমকো, স্কয়ার ও এসকেএফ
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বেক্সিমকো, স্কয়ার ও এসকেএফ এই তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে ক্যাপসুল বাজারজাতকরণের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর (ডিজিডিএ)। ওষুধটি বাজারজাতকরণের জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল।

মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে ডিজিডিএর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো, স্কয়ার ও এসকেএফকে কোভিডের ক্যাপসুল মলনুপিরাভিরের জরুরি বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনুমোদনের তালিকায় রয়েছে দেশের আরও ৭টি ওষুধ কোম্পানি। শুরুতে প্রতিটি ক্যাপসুলের বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ টাকা করে। এই ওষুধটি করোনায় সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয় বলে দাবি করেছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়ো থেরাপিউটিকস। এটি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে বলে জানান তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, মলনুপিরাভির ক্যাপসুলের ফুল কোর্স হবে পাঁচদিনে। প্রতিদিন আটটি ক্যাপসুল খেতে হবে, যার মধ্যে সকালে চারটি ও রাতে চারটি। অর্থাৎ পাঁচদিনে মোট ৪০টি ক্যাপসুল খেতে হবে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, দেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় এর আগে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য রেমিডিসিভির উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ইউএস এফডিএ যেহেতু করোনার চিকিৎসায় অনুমোদন প্রদান করেছে তাই জরুরি ব্যবহারের জন্য আমাদেরও অনুমোদন দিয়েছে।’

মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মার্ক, শার্প অ্যান্ড ডোহম (এমএসডি) এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপটিকসের ‘মলনুপিরাভির’ করোনা চিকিৎসায় প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের অনুমোদন দেয়, যা ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ না করে ওষুধ হিসেবে খাওয়া যাবে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার করোনা চিকিৎসায় 'মলনুপিরাভির' ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এরপরই মূলত দেশে এই ওষুধটির উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

প্রকৌশলনিউজ/সু