মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন পেল বঙ্গভ্যাক্স


নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন পেল বঙ্গভ্যাক্স
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লি. উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল’র (বিএমআরসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিনের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানাগেছে, গত ১ নভেম্বর বানরের দেহে চালানো পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএমআরসি'তে জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক। এরপর গত রোববার (২১ নভেম্বর) বৈঠকে বসে বিএমআরসি'র ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটি। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠক থেকেই মূলত টিকাটি মানবদেহে পরীক্ষার জন্য সবাই একমত হন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি, তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যা এক ডোজের। ইঁদুরের দেহে টিকাটি পরীক্ষা করলে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা পায় গ্লোব বায়োটেক। পরে বিএমআরসি'র নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে টিকাটি বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে বানরের দেহে চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে দেখা যায় করোনার যতগুলো ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তার সব কটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর। এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য বিএমআরসি'র কাছে প্রটোকল জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক। বিএমআরসি'র চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা পড়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গ্লোব বায়োটেক ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসপর ১৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির তিনটি টিকাকে সম্ভাব্য টিকাপ্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা ডাব্লিউএইচও'র তালিকায় রয়েছে।

এসআই/