করোনায় আইভারমেকটিনের কার্যকরিতা নিয়ে গবেষণা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আইভারমেকটিনের কার্যকরিতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গবেষণায় হাসপাতালে ভর্তি নিশ্চিতভাবে মৃদু কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আইভারমেকটিন অথবা আইভারমেকটিনের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহারের নিরাপত্তা ও কার্যকরিতার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁসে আইসিডিডিআর'বি আয়োজিত সেমিনারে গবেষকেরা এমন তথ্য তুলে ধরেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ দিনের মাথায় ৫ দিন ধরে শুধুমাত্র আইভারমেকটিন ব্যবহার করা রোগীদের ৭৭ শতাংশ রোগীর সার্স-কোভ-২ এর ক্লিয়ারেন্স হয়েছে। অর্থাৎ আরটি-পিসিআর টেস্টে কোভিড-১৯ মুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন বয়বহার করা রোগীদের ৬১ শতাংশ এবং পস্নাসিবো ব্যবহার করা ৩৯ শতাংশ রোগীর ভাইরাস ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়। আইসিডিডিআর'বির গবেষণাটি জুন মাসের ১৭ তারিখে শুরু হয়ে শেষ হয় সেপ্টেম্বরের আট তারিখে। এই গবেষণার ফলাফলের ওপর একটি আর্টিকেল ডিসেম্বরের দুই তারিখে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইনফেকশন ডিজিজেস (আইজেআইডি) প্রকাশ করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান, এমপি। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির এন্টারিক অ্যান্ড রেসপিরেটরি ডিজিজিসের সিনিয়র ফিজিশিয়ান সায়েন্টিস্ট এবং গবেষণার প্রধান গবেষক ডা. ওয়াসিফ আলী খান গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যদিও সুদৃঢ় উপসংহারে পৌঁছানোর বিবেচনায় এই গবেষণায় অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা খুবই কম। প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধের কার্যকরিতা গবেষণায় পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আইভারমেকটিন নিয়ে বড় ধরনের ট্রায়ালের জন্য এই গবেষণালদ্ধ জ্ঞান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
নাজমুল হাসান এমপি বলেন, আইভারমেকটিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি কোভিড ১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী সমাধান খুঁজে বের করার একটি প্রয়াস।
আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই গবেষণা স্বল্প পরিসরে করা হয়েছে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরো বড় পরিসরে গবেষণা দরকার। বড় পরিসরে ট্রায়ালের জন্য আমরা সহায়তা সন্ধান করছি।