আফগানিস্তানে তীব্র লড়াই, ২৬১ তালেবান নিহত
আফগানিস্তানে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৬১ তালেবান যোদ্ধা নিহিত হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করছে, গজনি এবং কান্দাহার শহরের বিভিন্ন স্থানে তীব্র লড়াই চলছে, বামিয়ান প্রদেশের সায়ঘান জেলা, গজনির মালিস্তান, ফারাহ প্রদেশের পুর চমন এবং খোস্ট প্রদেশের মুসা খেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আফগানিস্তানে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৬১ তালেবান যোদ্ধা নিহিত হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করছে, গজনি এবং কান্দাহার শহরের বিভিন্ন স্থানে তীব্র লড়াই চলছে, বামিয়ান প্রদেশের সায়ঘান জেলা, গজনির মালিস্তান, ফারাহ প্রদেশের পুর চমন এবং খোস্ট প্রদেশের মুসা খেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তালেবানের ২৬১ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের বহু অভিযানের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
বামিয়ান প্রদেশের সাজ্জাদ ফলাদি নামের এক বাসিন্দা বলেন, সায়ঘান ও কুমার্দ জেলা দখল হয়ে গেছে। মানুষ এটা নিয়ে বেশ চিন্তিত। বামিয়ান প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ রেজা ইব্রাহিম বলেন, বামিয়ানের প্রায় ২০ হাজার পরিবার অন্যান্য জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।
গজনির প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, গজনির পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। শত্রুরা আবাসিক এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে কান্দাহারের অধিকারকর্মী মুহাম্মদ ওসমান বলেন, শহরের অভ্যন্তরে যুদ্ধ লেগে গেছে। বহু জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রুহুল্লাহ আহমাদজাই বলেন, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে শত্রুরা হামলা চালাচ্ছে, সেসব এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব এলাকা রক্ষা এবং সেখানে অভিযান পরিচালনায় কর্মসূচি রয়েছে।
সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই তালেবান দেশের বিভিন্ন এলাকা দখলে নেওয়া শুরু করে। সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে এলাকার পর এলাকা দখল আরও জোরদার করে তালেবান।