আল জাজিরার প্রতিবেদন : সামিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পুলিশ। সামিউল সম্প্রতি জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত সরকার বিরোধী একটি প্রতিবেদনের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়।
 
                                সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পুলিশ। সামিউল সম্প্রতি জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত সরকার বিরোধী একটি প্রতিবেদনের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়।
রোববার ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক আফসার আহম্মদ।
অপর আসামিরা হলেন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত সংস্থা। তারা হলেন, লেখক মুশতাক আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তখন রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরআগে ১৩ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদ।
অপর আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। তারা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
গত ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, মুশতাক আহমেদ নামের ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন। আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, সাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক এ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টিরও প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসএ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন (জুলকারনাইন সায়ের খান), সাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস
 
                         sumon.reporter.cr@gmail.com
                                    sumon.reporter.cr@gmail.com                                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
            
             
            
             
            
             
            
             
            
             
            
             
            
             
            
             
            
            
 
            
             
            
             
            
             
            
             
            
             
            
                                        
                                     
            
             
            
             
            
             
            
            