জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কাউকে জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কাউকে জোর করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।
রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের দেওয়া অক্সফোর্ডের-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ভারত ও যুক্তরাজ্যে পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে যে কোনও ভ্যাকসিন প্রয়োগে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।
করোনার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেই সাথে ভ্যাকসিন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুতরাং সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত ২০ জানুয়ারি দেশে আসে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া ২০ লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের এই ভ্যাকসিন দেশে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে।