পঞ্চম দিনে ১শ ৬ টন বর্জ্য অপসারণ
টানা পঞ্চম দিনের মত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ১০৬ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
টানা পঞ্চম দিনের মত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ১০৬ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার ডিএসসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাতে জানানো হয়, বুধবার রাতে পান্থকুঞ্জ, পান্থপথ ও রাসেল স্কয়ারের ড্রেনেজ পিট হতে এক্সকাভেটর, ডোজার ও গ্রেভার ব্যবহারের মাধ্যমে ১শ ৬ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। একই সাথে সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের গোপীবাগ আউটলেটে ম্যানুয়ালি বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম চলমান আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল হতে জিরানী খালের ত্রিমোহনী অংশে এক্সকাভেটর ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সকাল দশটা হতে সন্ধ্যা অবধি চলমান ছিল। একই সাথে রাজধানীর জিরানি, মান্ডা ও কালু নগর খাল হতে ম্যানুয়ালি বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আমিন বলেন, জিরানি খাল হতে বর্জ্য অপসারণ এবং চ্যানেল পরিষ্কারের লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে আমরা যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি, সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। খালের সীমানার মধ্যে ইতোমধ্যে সীমিত আকারে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমাদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আমরা খালের মধ্যে থাকা সকল স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করব।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খালেও বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জিরানি খাল, শ্যামপুর খাল, বাসাবো কদমতলা খাল ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে মান্ডা খালের সাথে এসব খাল ও বক্স কালভার্টের সংযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতাকে অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
পান্থপথ বক্স কালভার্ট ও জিরানি খালে যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট, শ্যামপুর খাল ও মান্ডা খাল হতে ম্যানুয়ালি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।