ফিশিং লিংক, টার্গেট প্রবাসী নারী
ফিশিং লিংক ব্যবহার করে ফেসবুক হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
ফিশিং লিংক ব্যবহার করে ফেসবুক হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম মোঃ মামুন মিয়া। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল উদ্ধার করে সাইবার পুলিশ। ২১ জুন দিবাগত রাত টায় সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার উপস্থিত গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃত মামুন তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পর্কে পারদর্শী। সে নিজেই ফিশিং লিংক তৈরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রেরণ করে। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের সে টার্গেট করে।
ফেসবুক আইডি হ্যাক সম্পর্কে তিনি বলেন, উক্ত ফিশিং লিংকে ভিকটিমরা ক্লিক করলে ফেসবুক ইন্টারফেস আসে। তখন ভিকটিমরা উক্ত লিংকে প্রবেশ করার জন্য তাদের ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিলে মামুনের কাছে উক্ত ফেসবুক একাউন্টের আইডি ও পাসওয়ার্ড চলে যায়। পরবর্তী সময় সে উক্ত আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করে, ভিকটিমের ফেসবুক আইডি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে। এরপর সে নিজেই উক্ত ফেসবুক আইডি থেকে তার নিকট আত্মীয়ের নিকট হতে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়। এছাড়া ভিকটিমের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। গ্রেপ্তারকৃত মামুন টাকার বিনিময়ে ভিকটিমদের ফেসবুক একাউন্ট ফেরত দিতো অন্যথায় ফেসবুক একাউন্ট তার দখলে রাখতো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, উক্ত ফেসবুক হ্যাকার বিভিন্ন ভিকটিমের নিকট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগেও মামুন মিয়া ফেসবুক হ্যাক করার দায়ে একবার গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃত মামুনকে গত ২২ জুন রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক প্রতিরোধে ডিবির এই কর্মকর্তা নিম্নলিখিত সাতটি নির্দেশনার কথা বলেন-
১. যাচাই না করে কোন ধরনের URL লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
২. কোন URL লিংকে ক্লিক করার পর কোন ফেসবুক পেজে বা অন্য কোথাও রিডাইরেক্ট হলে লগইনের জন্য ফেসবুক আইডি/ পাসওয়ার্ড প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. আপনার ফেসবুক আইডিতে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের সাথে একটি ই-মেইল এড্রেস যোগ করে রাখুন।
৪. Authorized logins অপশন চেক করুন।
৫. ফেসবুক আইডি বা মেসেন্জারে একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্য ছবি ভিডিও কথপোকথন রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৬. মোবাইলে আসা নোটিফিকেশনে Yes/No ক্লিক করার পূর্বে ভালোভাবে পঢ়ে নিন।
৭. ফেসবুকে তিন থেকে পাঁচ জন ট্রাস্টেড কনটাক্ট যোগ করুন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস