বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে কাজ করছে চীন

বাংলাদেশে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে কাজ করছে চীনা উৎপাদকরা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে কাজ করছে চীন

বাংলাদেশে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে কাজ করছে চীনা উৎপাদকরা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

হুয়ালং ইয়ান তার পোস্টে লিখেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এখানকার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। চীন এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০টি দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সে এক কোটি ডোজের প্রথম চালান চীন হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত জানান, বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ প্রথম যে ব্যাচের টিকা হাতে পেয়েছে, তা চীনের। অনেকগুলো উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণার পাশাপাশি টিকা উৎপাদন করছে চীন। একই সঙ্গে চীন অনেক দেশের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের দেশে টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালাতে সহায়তা করেছে।

এছাড়া দেশটির উৎপাদিত টিকার কার্যকারিতা ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, চীনের তৈরি করোনার টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকরিতা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। ফলে, চীনের টিকা আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে।

এছাড়া দেশটির উৎপাদিত টিকার কার্যকারিতা ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন বহু উন্নয়নশীল দেশের সাথে যৌথভাবে গবেষণা ও উৎপাদন করছে। 

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মধ্যে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে দেড় কোটি টিকা কিনতে চুক্তি করেছে। তার মধ্যে ২০ লাখ টিকার প্রথম চালান গত শনিবার ঢাকায় এসেছে। এ ছাড়া চীন গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেয়। পরে সিনোফার্মের আরও ছয় লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয় চীন।