হেফাজতের নায়েবে আমীরের পদত্যাগের ঘোষণা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে মাঠে নেমে অংশ নিতে না পারায় সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দের রোষানলে পড়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

হেফাজতের নায়েবে আমীরের পদত্যাগের ঘোষণা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে মাঠে নেমে অংশ নিতে না পারায় সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দের রোষানলে পড়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে শবে বরাত উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে আমার এ পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেব এবং অফিশিয়ালি পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমার নেতৃত্বে আর কোন আন্দোলনে আপনাদেরকে আমি ডাকবো না। তবে সাধারন মুসলমান হিসেবে হেফাজতের একজন কর্মী এবং সমর্থক হয়ে কাজ করে যাব।

গত রোববার হেফাজতের আহ্বানে পালিত হরতাল কর্মসূচিতে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ানোয় সংগঠনের কয়েকজন নেতার কাছে হেনস্তার শিকার হন আব্দুল আউয়াল। মূলত এ কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের আলোচিত এ খতিব।

মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেন, হরতালের দিন আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা এ মসজিদ থেকে বের হতে নিষেধ করেছিল। আমি শত চেষ্টা করেও এখান থেকে বের হতে পারিনি এবং আন্দোলনে যোগ দিতে পারিনি। সেজন্য হেফাজতের কিছু কর্মী ও দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে আমাকে অপ্রীতিকর মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত ব্যারিকেড ডিঙিয়ে বের হওয়ার কোন পথ আমার কাছে ছিল না।

তিনি বলেন, আমি যদি তখন বের হতাম তাহলে এই মসজিদের সামনে লাশ পড়ে যেত। মসজিদের এই দেওয়ালগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যেত। কেননা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই মুহূর্তে আমার কি করার ছিল?

হরতালের পর থেকে হেফাজতের কয়েকজন নেতা তাকে এড়িয়ে চলছেন বলেও অভিযোগ করেন মাওলানা আবদুল আউয়াল।