কূটনীতিকদের মিয়ানমার ছেড়ে যেতে বলল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর মিয়ানমারে অবস্থানরত অপ্রয়োজনীয় কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে রক্তক্ষয়ী ধরপাকড়ের পর এমন নির্দেশ এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মিয়ানমারে অবস্থানরত অপ্রয়োজনীয় কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে রক্তক্ষয়ী ধরপাকড়ের পর এমন নির্দেশ এসেছে।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। তখন গণতান্ত্রিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভে সামরিক সহিংসতার প্রাথমিক পর্যায় ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার নতুন করে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলুর মতে, মিয়ানমারে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তাদের দেশে ফিরে যেতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র নতুন আদেশ দিয়েছে।
গত শনিবার সামরিক বাহিনীর গুলিতে শিশুসহ ১৪১ জন নিহত হয়েছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তার পর থেকেই সেখানে টানা বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে জান্তা বাহিনী বলপ্রয়োগ করছে। বিক্ষোভ করতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানায়, মনিপুর ছাড়াও মিয়ানমারের কারেন রাজ্য থেকে তিন হাজারের বেশি কারেন শরণার্থী প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। থাই সেনারা তাদের সীমান্তের কাছেই আটকে রেখেছে।
ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের নাগরিকরা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ১৪ দিন বৈধভাবে বসবাস করতে পারবেন।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর মার্চ থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মিয়ানমার থেকে ঠিক কতজন শরণার্থী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তার সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল। তবে কেউ কেউ ওই সংখ্যা প্রায় ৭০০ বলে জানিয়েছেন।