ঢাকার চারদিকে নৌপথ উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়নের পথে
ঢাকার চারদিকে নৌপথ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ঢাকা শহরের চারিদিকে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু এবং শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ভূমিতে বর্তমান সরকারের ২০১৮ সনের নির্বাচনী অঙ্গিকার বাস্তবায়নে জানুয়ারী’২০১৯ হতে চারটি নদীর তীর ভূমি হতে ৯,৮৯২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২৭৭.৬৭ একর তীর ভূমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত তীর ভূমিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর নির্দেশনা ও সহযোগীতার মাধ্যমে ৮৪৮.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে “ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি সহ আনুসংগিক অবকাঠামো নির্মাণ নির্মাণ (২য় পর্যায়) ” শীর্ষক প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।
ঢাকার চারদিকে নৌপথ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ঢাকা শহরের চারিদিকে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু এবং শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ভূমিতে বর্তমান সরকারের ২০১৮ সনের নির্বাচনী অঙ্গিকার বাস্তবায়নে জানুয়ারী’২০১৯ হতে চারটি নদীর তীর ভূমি হতে ৯,৮৯২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২৭৭.৬৭ একর তীর ভূমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত তীর ভূমিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর নির্দেশনা ও সহযোগীতার মাধ্যমে ৮৪৮.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে “ বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি সহ আনুসংগিক অবকাঠামো নির্মাণ নির্মাণ (২য় পর্যায়) ” শীর্ষক প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে।
এইসব উন্নয়ন কাজে ৫২ কিঃমিঃ ওয়াকওয়ে, তীর রক্ষা, ভরাটকৃত মাটি খনন, ১০০টি আর. সি.সি সিড়ি, ০১ কিঃমিঃ কি-ওয়াল, সেতু ও রেলিং নির্মাণ, ৪০৯টি বসার বেঞ্চ, ১০৮২০টি সীমানা পিলার, ০৩টি ইকোপার্ক, ১৯টি জেটি, ০৬টি লংবুম এক্সাভেটর, এবং বনায়ন অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩.৫০ কিঃমিঃ ওয়াকওয়ে, ৩০০০টি স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন, ০৬টি লংবুম এক্সাভেটর, ১০০০ বৃক্ষ রোপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জেটি ও ইকোপার্ক নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ চলমান এবং দরপত্র গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া ২৪ কিঃমিঃ ওয়াকওয়ে নির্মাণের ১৫টি লটে দরপত্র মুল্যায়ন কাজ চলমান রয়েছে। যে গতিতে প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে আশা করা যায় ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আরো অধিকতর সমীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা চারদিকে একটি দৃষ্টি নন্দন ও কার্যকরী নৌপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুনঃগঠিত আর.ডি.পি.টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুনঃগর্ঠিত আর.ডি.পি.পি-তে প্রায় ১১৮১.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভরাটকৃত মাটি খনন, ৫২ কিঃমিঃ ওয়াকওয়ে, ৭,৫৬২টি স্থায়ী সীমানা পিলার, ৮০টি আর সি সি জেটি, ২৯১টি বসার বেঞ্চ, ১৪টি ভারী জেটি, পার্কিং ইয়ার্ড, ০৩টি রাস্তা নির্মাণ, ইকোপার্ক, সীমানা প্রাচীর, রেলিং, সেতু কি-ওয়াল নির্মাণ, সদরঘাট ও কেরাণীগঞ্জে ০৪টি ঘাট অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে।
ঢাকা শহরের চারিদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত ভূমিতে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণ, গণ মাধ্যম, সুশীল সমাজের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। যাহা প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্ম উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু নদী দখলদার, ভূমি খেকো, মুষ্ঠিমেয় স্বার্থন্বেষী, প্রভাবশালী মহল ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার বষিয়টি সহজভাবে গ্রহন না করে বিভিন্ন মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ ব্যহত করার হীন কাজে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে মহামাম্য আদালতে মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন মাধ্যমকে বুঝিয়ে নীতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে সময় ক্ষেপন করে উন্নয়ন কাজ ব্যহত করার অপচেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ঢাকা শহরের চারিদিকে নৌপথ উন্নয়নের মাষ্টার প্লান বাস্তবায়নে নৌপরবিহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও সহযোগীতায় বিআইডব্লিউটিএ সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য শহর করার সহযোগী হিসেবে আলোচ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ঢাকা শহরের চারিদিকে এবটি দৃষ্টি নন্দন পরিবেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেছেস। ইতিমধ্যে ৩য় পর্যায়ে প্রায় ১৫০ কিঃমিঃ ওয়াকওয়ে, ০৪টি নদী খনন, সীমানা পিলার ও আনুষংগিক সুবিধা নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সমীক্ষার সুপারিশ অনুসারে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর আশা করে, প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত মাষ্টার প্লান অনুযায়ী চলমান ২য় পর্যায় এবং প্রস্তাবিত ৩য় পর্যায় এর প্রকল্প কাজ সম্পন্ন হলে ১১০ কিঃমিঃ বেষ্টিত নদী দু’পাড়ে ২২০ কিঃমিঃ তীরভূমিত স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে, আর সি সি জেটি, ইকোপার্ক, বনায়ন ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়িত হলে নদী দখল দূষণ রোধ হয়ে দৃষ্টি নন্দন পরিবেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে।
প্রকৌশলনিউজ/এসআই