গণপূর্ত অধিদপ্তরে অশনি সংকেত, ৩ বছরে ৫ বার বদলী!
আবারো আলোচনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর, এবার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অযৌক্তিক বদলীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বদলী বাণিজ্য। দীর্ঘদিন সমালোচনার মধ্যে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তর ইমেজ ফেরানোর চেস্টায় প্রধান প্রকৌশলী পদে পরিবর্তন আনলেও কোনভাবে সংকট কাটাতে পারছে না। যিনি প্রধান প্রকৌশলীর পদে আসীন হন তিনিই তৈরী করেন নতুন নতুন সিন্ডিকেট। সমালোচনা এড়াতে পূর্বের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে সরিয়ে প্রধান প্রকৌশলী করা হয় মোহাম্মদ শামীম আখতারকে।
আবারো আলোচনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর, এবার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অযৌক্তিক বদলীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বদলী বাণিজ্য। দীর্ঘদিন সমালোচনার মধ্যে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তর ইমেজ ফেরানোর চেষ্টায় প্রধান প্রকৌশলী পদে পরিবর্তন আনলেও কোনভাবেই ইমেজ সংকট কাটাতে পারছে না অধিদপ্তরটি। যিনি প্রধান প্রকৌশলীর পদে আসীন হন তিনিই তৈরী করেন নতুন নতুন সিন্ডিকেট। সমালোচনা এড়াতে পূর্বের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে সরিয়ে মোহাম্মদ শামীম আখতারকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০০২ সালে প্রকাশিত বদলী বিধান অনুযায়ী একজন কর্মকর্তার প্রতি স্টেশনে চাকুরিকাল হবে তিন বৎসর তবে দুর্গম ও পার্বত্য অঞ্চলে তা ২ বছর হবে। অন্য কোন কারণে ৩ বছরের পূর্বে বদলী করতে হলে বিষয়টি একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে বিবেচিত হতে হবে। কেবলমাত্র কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দুই/তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোন কর্মকর্তাকে বদলী করতে পারবে বলে বদলী বিধানে উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু বদলীকৃতদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে কোন বিধান মানা হয়নি। গত ১৯ নভেম্বর ২০২০ সালে নগর গণপূর্ত বিভাগের অধীনে রমনা গণপূর্ত উপবিভাগ-১ বদলী আদেশ হয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুকের কিন্তু মাত্র ৮ মাস পর ১৮ জুলাই ২১ সালে পুনরায় তাকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ বদলী করা হয়। উপ-সহকারী ওমর ফারুককে গত ৩ বছরে ৫ বার বদলীর করা হয়েছে বলে জানা যায়। গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তার বদলীর আদেশগুলো হয়।
ই/ম ডিভিশন-৫ এ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান প্রধান ২৪ মার্চ ২০২০ সালে যোগদান করলেও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী ৩ জুন ২০২১ সালে তাকে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১ এ পুনরায় বদলী করেন। ঢাকার বাইরেও এই বদলী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।প্রকল্প বা কাজের পরিধি নির্ণয় করে বদলী রেট বসানো হয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব বদলীর পিছনে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। যেখানে প্রকল্প যতবড় সেখানে বদলীর রেট ততবেশী। ক্ষমতা আর টাকা কাছে অসহায় হয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ অযৌক্তিক বদলী আদেশ মেনে নিচ্ছেন। ফলে যে কোন সময় প্রতিষ্ঠানটিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তাই মনে করছেন।
এসব বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মিটিং এ আছেন বলে তার স্টাফ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার মাহফুজ আহমেদ প্রকৌশল নিউজকে বলেন, ২/৩ বছরের আগে বদলী করা যাবে না এমন নয়, তবে ৩ বছর হয়ে গেলে বদলী বাধ্যতামূলক। কিন্তু একই দপ্তরে অন্য অফিসার ৮/৯ বছর ধরে একই চেয়ারে থাকলেও তার বদলী হয় না এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান। আর যদি কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে প্রি-ম্যাচিউর বদলী করা যায় বলে তিনি জানান কিন্তু যাদের বদলী করে আনা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যদি আরো গুরুতর অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে করণীয় কি প্রশ্নের জবাবে স্টাফ অফিসার হিসেবে তার সীমাবদ্ধতা আছে বলে পরবর্তীতে ফোন দিতে বলেন।