পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন মেলেনি, সহযোগীসহ কারাগারে প্রযোজক রাজ

রাজধানীর বনানী থানার পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীকে রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন মেলেনি, সহযোগীসহ কারাগারে প্রযোজক রাজ

রাজধানীর বনানী থানার পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীকে রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে বনানী থানার পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

এদিন আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম আখতারুজ্জামান হিমেলসহ প্রমুখ আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, ‘আসামি রাজ একজন ঠিকাদার এবং রাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী। তিনি এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। নায়িকা পরীমণির মামলার ইস্যুতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু পর্নোগ্রাফির আলামত বা সরঞ্জাম হিসেবে একটি মোবাইল সেট, এক গাছ রশি ও একটি ব্যবহৃত বেল্ট। এসব তো পর্নোগ্রাফির সরঞ্জাম হিসেবে এই অভিযোগের সাথে যায় না। আমরা মামলার বিচার ফেস করব, দয়া করে যে কোনো শর্তে জামিন দিন।’

তারা বলেন, ‘কোনো একজন মহিলার নাম তদন্তে আসে নাই। তিনি বলতে পারবেন যে তিনি পর্নোগ্রাফির দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আমরা ভিকটিমাইজ। আমাদের জামিন দিন।’

রাষ্ট্র পক্ষে বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. আলমগীর হোসেন জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
গত ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীতে নজরুল ইসলাম রাজের বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজকে তার বাসা থেকে বের করা হয়। তার বাসা থেকে মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন আদালত এ দুই আসামির মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১০ আগস্ট রাজ ও সবুজ আলীকে মাদক মামলায় আরও দুই দিন এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস