পর্যায়ক্রমে শিথিল হবে বিধিনিষেধ : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পর্যায়ক্রমে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘গত সভায় যেটা আলোচনা হয়েছে সেখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। ১১ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করার সিদ্ধান্ত। যদিও শনাক্তের হার কমছে কিন্তু মৃত্যুর হার দুশ’র ওপরে আছে। সে বিষয়ে অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। আগামীতে কী পর্যায়ে শিথিল করবো সে বিষয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পাব। সেটা আজ বা কাল জানাতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু দোকানপাট খুলতে হবে- সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকে আমাদের জোর থাকবে। গতকাল থেকে গণটিকা চালু করেছি, এটি ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমরা চাইব সবাই যেন মাস্ক পরে। আমরা টিকা কার্যক্রমের মধ্যে যারা দোকানদার, যাদের বাইরে যেতে হয়, ইমাম-মুয়াজ্জিন, চালক-সহকারীদের প্রায়োরিটি দিয়েছি। যাদের বাইরে আসতে হয় মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় তাদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি। ধাপে ধাপে ধীরে ধীরে সীমিত পরিসরে শিথিল করার চিন্তা আছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আজ বা কাল সকালে হয়তো প্রজ্ঞাপন দিতে পারব। কতটুকু শিথিল তা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর জানাতে পারব। আমাদের পরামর্শ ধাপে ধাপে। কোনটি কখন খোলা হবে, কতটুকু পরিসরে খোলা হবে সেটা দেখতে হবে। কঠোরভাবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন হয় সেদিকে কঠোর ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণটিকা কার্যক্রমে প্রতি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দিয়েছি। যারা সবজি ব্যবসায়ী, রিকশাচালকসহ যাদের বাইরে আসতে হয়, বিভিন্ন কারণে যেসব মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয় তাদের বেছে নিয়েছি। সেখানে বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাও আছেন। আমাদের যেহেতু জীবিকাও নিশ্চিত করতে হবে তাই বলেছি- তারা যাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা নিতে পারেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ও নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। সেটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পেলে জানা যাবে।’