বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শাহ আলম ‘চোর-ডাকাত’: হাইকোর্ট
অর্থ পাচার ও তথ্য জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত পিপলস লিজিংয়ের শুনানিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে ‘চোর’ ও ‘ডাকাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন হাইকোর্ট।
অর্থ পাচার ও তথ্য জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্ত পিপলস লিজিংয়ের শুনানিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে ‘চোর’ ও ‘ডাকাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ মামলা শুনাকিালে ঋণখেলাপিদের পক্ষের এক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে ওই মন্তব্য করেছেন। হাইকোর্টে উপস্থিত ৫১ ঋণখেলাপির পক্ষে আইনজীবী মুশতাক আহমেদ শুনানি করেন।
শুনানিকালে উচ্চ আদালত বলেন, ‘পি কে হালদার এবং এস কে সুর কী আকাম-কুকাম করছে সেটা তো চলবেই। আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কি-না। আমানতকারীরা আজকে খেয়ে, না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা চেষ্টা করছি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের। একটি কোম্পানি অবসায়ন করতে হলেও তার একটা প্রসিডিং আছে। আমরা সেটাও দেখছি। টাকাগুলো উদ্ধারের একটা পথ বের করার চেষ্টা করছি।’
এ সময় অনেক ঋণখেলাপি টাকা পরিশোধে সময় প্রার্থনা করছেন। এরই এক পর্যায়ে ভার্চুয়ালে যুক্ত আইনজীবীকে আদালত বলেন, ‘শাহ আলম একটা চোর, ডাকাত।’
এর আগে, এই দুর্নীতির অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হককে গ্রেফতার করে।
হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে সরিয়ে দেয়া হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিসিয়াল আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
তবে একটি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যানসিয়াল স্টাবিলিটি ডিপার্টমেন্ট, ডিপোজিট ইন্সুরেন্স ডিপার্টমেন্ট এবং স্পেশাল স্টাডিজ সেলের নির্বাহী পরিচালক।