বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের জবানবন্দি
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ও বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মামলায় বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বড় মেয়ে ঝুমা রাণী দাস।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মা ও বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মামলায় বাবা মোহন্দ্র চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বড় মেয়ে ঝুমা রাণী দাস।
রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝুমা রাণীকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এদিকে, মামলার একমাত্র আসামি মোহন্দ্র চন্দ্র অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে আদালতকে অবহিত করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। মোহন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় শনিবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ঘুমের মধ্যে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মোহন্দ্র চন্দ্র দাস। ঘটনার সময় ফুলবাসীর আরেক মেয়ে ঝুমা রানী দাস (১৪) ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, তার বাবা সুমীর মুখে পলিথিন চেপে ধরেছেন। শনিবার সকালে ওই বাসা থেকে ফুলবাসী ও তার মেয়ে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস