সেনা শাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্র্রদূত দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে সংস্থাটিকে আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্র্রদূত দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে সংস্থাটিকে আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্র্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন দেশটির জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের এক বিশেষ বৈঠকে সব সদস্য রাষ্ট্রকে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতিতে দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। কাতারিভত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে প্রতিবাদ-সমাবেশ-বিক্ষোভ চলছে। ওই দিনই অং সান সুচি'র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। গত তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ধর্মঘট চলছে। ইতোমধ্যে বিক্ষোভকারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন ছাড়াও হামলা চালিয়েছে সেনা অভ্যুত্থান সমর্থকেরাও।
শুক্রবার নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিশেষ বৈঠকে মিয়ানমারের দূত সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যবস্থা নিন এবং মিয়ানমারের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান করুন’। সাধারণ পরিষদের ওই বৈঠকে কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, ‘অবিলম্বে সেনা অভ্যুত্থান থামাতে, নিরীহ মানুষের ওপর নীপিড়ন থামাতে, জনগণের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ফেরাতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন’।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধ করতে এবং তাদের সঙ্গে সহায়তা না করতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান কিয়াও মোয়ে তুন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস পদক্ষেপ বন্ধ করতে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের এবং জনগণের জন্য একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাবো।’
উল্লেখ্য, রাজপথে বিক্ষোভে পাশাপাশি মিয়ানমারে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার সরকারি চাকরিজীবী ও পেশাজীবী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই অসহযোগ আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন সেখানে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। তাকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছিলো অং সান সু চির বিগত নির্বাচিত সরকার।