শেষ হলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০

শেষ হলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০
শেষ হলো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী আয়োজিত  "ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০" আজ শেষ হলো । তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি প্রথমবারের মতো প্রাযুক্তিক মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে আয়োজিত এই মেলায় এবার  এক কোটির বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে ।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ফিল্ম অ্যান্ড আর্কাইভ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য সমাপনী আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা জানি গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে যেতে চান তা সম্ভব হবে আইসিটির কল্যাণে, ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে। তিনি বলেন এই ডিজিটাল মেলার মাধ্যম প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না । প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন সেটি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে এটিকে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, এবারের আয়োজন ডিজিটালি করার কারণে আগের মেলার থেকে এটি অনেক বেশি সফল হয়েছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল খাতে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে সেটি শুধু বাংলাদেশকেই না বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রদর্শন করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এবারের আয়োজনের আমরা আগের তুলনায় ১০ ভাগের ১ ভাগ খরচ করে কাংখিত লক্ষ্যমাত্রার ১০ গুণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ দর্শনার্থীর কাছে পৌছানো। কিন্তু আমরা এক কোটির বেশি দর্শক, দর্শনার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের মোট রিচ আউট এক কোটি ৯৩ লাখ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
পলক আরও বলেন, করোনার কারণে পরিবর্তিত পৃথিবী থেকে আমরা কী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম এবং নিজেদের কিভাবে প্রস্তুত করলাম সেটি তুলে ধরতেই এবারের আয়োজন। 

শুধু একটা উদাহরণ দেই, চীনের পিপিই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানী করে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশের তরুণ ডিজিটাল মার্কেটাররা। শুধু একটি স্টার্টাপ সাড়ে ছয় লাখ ডলার আয় করেছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে আমাজনের বিকল্প হবে ইভ্যালি। আলীবাবার বিকল্প হবে চালডাল, হোয়াটস অ্যাপের বিকল্প হবে আলাপন। এমন সব স্টার্টাপ বাংলাদেশ থেকেই গড়ে উঠবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, অনুষ্ঠানের প্ল্যাটিনাম স্পন্সর ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ উপলক্ষ্যে দেশের আইসিটি খাতে অবদান রাখার জন্য ১৩টি ক্যাটেগরিতে ১৭টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় আইসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।