পপি বীজ দিয়ে তৈরি হতো আফিম ও হিরোইন
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে জব্দ পপি বীজ নিষিদ্ধ মাদক আফিম ও হেরোইন তৈরির মূল উপাদান। আটক হওয়া পপি বীজ প্রক্রিয়াজাত করে আফিম ও হিরোইন উৎপাদন করা হতো। এমনই তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে জব্দ পপি বীজ নিষিদ্ধ মাদক আফিম ও হেরোইন তৈরির মূল উপাদান। আটক হওয়া পপি বীজ প্রক্রিয়াজাত করে আফিম ও হিরোইন উৎপাদন করা হতো। এমনই তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার মৌলভীবাজারের ২২/১, আলী হোসেন খান রোডের আজমাইন ট্রেড সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি ছিল পপি বীজ প্রক্রিয়াজাত করার কেন্দ্র জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলেন এসব তথ্য জানান সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন, বিশেষ পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
মুক্তা ধর বলেন, চট্টগ্রামে পপি বীজ আটকের পরপরই এর মূল হোতা রাজু আহমেদ পালিয়ে যান। চকবাজারের ৩১, আগা নবাব দেউড়ি’র বাড়িতে রাজু আহমেদ সপরিবারের থাকতেন। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে যে তারা সপরিবারে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। পরে ঘটনাটি সিআইডি তদন্ত করে হট লাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক অখিল চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করতে পারলে মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি সিন্ডিকেটে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি’র এই বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আপাতত আমরা ধারনা করছি যে পপি বীজের গন্তব্যস্থল ছিল রাজধানী। এখানেই একটি বড় সিন্ডিকেট রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে আজমাইন ট্রেড সেন্টারের নামে আমদানি করা ৫৪ টন সরিষার বীজের মধ্যে ৪২ টন পপি বীজ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরপর আজমাইন ট্রেড সেন্টার সেন্টারের মালিক রাজু আহমেদ পালিয়ে যান। ঘটনার পর সিআইডি মঙ্গলবার চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট হট লাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারী অখিল চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেফতার করে।