নতুন ভয়ঙ্কর মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’ হ্যালোসিনেশন


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
নতুন ভয়ঙ্কর মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম’ হ্যালোসিনেশন
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী আলোচিত এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) ও হ্যাপি ড্রাগ ডিএমটি মাদকের পর এবার আরেক ভয়ঙ্কর নতুন এক মাদকের সন্ধান মিলেছে। যার নাম ম্যাজিক মাশরুম। বিভিন্ন খাবারে কেক ও চকলেট মিশ্রিত অবস্থায় সেবন করা হয় এটি। এ মাদক সেবনের ফলে সেবনকারীর মধ্যে হ্যালোসিনেশন তৈরি হয়। এরপরই শুরু হয় পশুপাখিদের সাথে কথোপকথন।

বুধবার বিকেলে কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এ ম্যাজিক মাশরুম মাদকটি সাধারণ মাশরুম থেকে একেবারে আলাদা। এ মাশরুমটি ভাঙার পর বিভিন্ন রঙ ধারণ করে। কখনো লাল, কখনো লীল এভাবে বিভিন্ন রঙ হয়। যেটি সাধারণ মাশরুমে হয় না। ভয়ঙ্কর এ মাদক কেনাবেচা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাগিব হাসান অনর্ব (২৫) ও তাইফুর রশিদ জাহিদ (২৪)।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ম্যাজিক মাশরুম একটি সাইকেলেডিক (হ্যালোসিনোজেন) ড্রাগ। এই ড্রাগটি বিভিন্ন খাবারে যেমন: কেক ও চকলেট মিক্স অবস্থায় সেবন করা হয়। এছাড়াও পাউডার ক্যাপসুল হিসেবেও পাওয়া যায়। এই ড্রাগ ব্যবহারে সেবনকারীর নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। তখন সে যেকোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে। ইহা সেবনে শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে মানসিক রোগ যেমন সাইকোসিস ছাড়াও অবিরাম হ্যালোসিনেশনের কারণ হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ম্যাজিক মাশরুম নামক এ মাদকের খোঁজ করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে থাকে জাহিদ। ডার্ক সাইটে ম্যাজিক মাশরুমের খোঁজ পাওয়ার পর সে বিদেশে অবস্থানরত তার বন্ধু ও পরিচিতদের ম্যাজিক মাশরুম বাংলাদেশে নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়। কানাডায় অবস্থানরত তার বাল্যবন্ধু গ্রেপ্তারকৃত নাগিব হাসান অর্ণব অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাইফুর রশিদ জাহিনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। তাইফুর নাগিবকে আরো জানায় যে, সে ম্যাজিক মাশরুমের বারগুলো বাংলাদেশে বিক্রির ব্যবস্থা করবে।

২০২১ সালের মে মাসে প্রথমবার নাগিব হাসান ম্যাজিক মাশরুমের একটি চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাইফুর ও নাগিব এই ম্যাজিক বারগুলি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস