চিত্রনায়িকা পরীমণি র‌্যাব সদর দপ্তরে


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
চিত্রনায়িকা পরীমণি র‌্যাব সদর দপ্তরে
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা সিনেমার গ্ল্যামার গার্ল খ্যাত আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইচসহ আটকের পর র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে আটকের পর তাকে নিয়ে রওনা হন র‌্যাব সদস্যরা। র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত সোয়া আটটার দিকে র‌্যাব সদস্যরা বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে নিয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের পথে রওনা হন।

এরআগে বিকেল থেকে পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে ভেতরে ঢোকে তারা। পরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় পরীমণির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াইন, ভয়ঙ্কর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।

র‌্যাব ও পুলিশের সদ্যরা যখন পরীমণির বাসার সামনে অবস্থান নেন তখন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে পরীমণি সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতা চাইলেন এবং দাবি করেন তার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম করে কেউ হামলা চালাচ্ছে।

পরীমণি লাইভে বলেন, আমি মরব আর কেউ কিছু বলবে না? মরতে তো একদিন হবেই। আমি এই লাইভ কাটব না। যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে। তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন দেখবেন? এরা কারা? ভাঙচুর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আমার বাসায় আমার বুড়ো নানা এসেছেন। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি। 

লাইভে দেখা যায়, তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় নিশ্চত হওয়ার পর দরজা খুলেছেন। ততক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসার সবার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। পাশাপাশি পরীমণির লাইভ বন্ধ করার জন্য বলেন। পরে তিনি লাইভ বন্ধ করেন। 

গত জুন মাসে রাজধানীর একটি ক্লাবে পরীমণিকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে নাসির ইউ আহমেদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সে অভিযোগও তিনি ফেসবুক লাইভে এসে জানান। এরপর তা আমলে নেয় প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে পরীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও প্রধান অভিযুক্ত নাসির গ্রেফতারের কয়েক দিন পরই জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।

গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।

এর পরদিন নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ১৫ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।

প্রকৌশলনিউজ/সু