আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে
প্রায় দুই দশক ন্যাটো জোটের সাথে যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ন্যাটো বাহিনী দেশটি থেকে চলে যাবার আগেই সিংহভাগ এলাকা দখলের ফলে দেশটি তালেবান নিয়েন্ত্রণে যাবার আশংকা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রায় দুই দশক ন্যাটো জোটের সাথে যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ন্যাটো বাহিনী দেশটি থেকে চলে যাবার আগেই সিংহভাগ এলাকা দখলের ফলে দেশটি তালেবান নিয়েন্ত্রণে যাবার আশংকা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে যখন বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা তালেবানের দখলে তখন এমন তথ্য আন্তর্জাতিক মহলে বিস্ময় জাগাচ্ছে। আফগান সরকার তালেবানের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। তবে সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর শক্তিশালী হয়েছে তালেবান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার সৈন্যরা যত দেশে ফিরছেন, আফগানিস্তানজুড়ে তালেবানের ছায়া প্রশাসন তত দৃশ্যমান হচ্ছে। দেশের যেসব এলাকা এত দিন দখল করতে পারেনি তারা, সেসবও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসছে। সব মিলে দেশটির ৪২১ জেলার প্রায় অর্ধেকে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে তালেবান।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ায় অবস্থান করছে। এই প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ তাদের দখলে এই তথ্য জানিয়ে রাশিয়াকে নিশ্চিত করেছেন যে, আফগানিস্তানের মাটি বিদেশে আক্রমণের জন্য আর ব্যবহৃত হবে না।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ১৯ জঙ্গি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে আত্মঘাতী হামলা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জায়গায়। দুটি উড়োজাহাজ আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে।
এই হামলার জেরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালে আফগান যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। প্রায় দুই দশক ধরে চলা আফগান যুদ্ধের ইতি টানছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সেনা চলে যাওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তালেবান। প্রতিদিনি তারা হামলা চালিয়ে কোনো না কোনো এলাকা দখল করে নিচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আফগান বাহিনীর প্রায় ১১০০ সেনা উত্তরাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে-তালেবানের হামলা অব্যাহত থাকলে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে আফগানিস্তানের লাখ লাখ শরণার্থী মোকাবেলা করতে হবে।
এটা নিয়ে রাশিয়া কিছুটা চিন্তিত। তবে শুকবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবানের ঊর্ধ্বতন নেতারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বৃহত্তর অঞ্চলজুড়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই, প্রতিবেশীদেশের জন্য তারা কোনো ধরনের হুমকি হবেন না। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস মোকাবেলা এবং মাদক উৎপাদন নির্মূলেরও ঘোষণা দেন তারা।
সম্প্রতি আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের একটি প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কাবুল থেকে সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তালেবান যোদ্ধারা রাজধানী শহর দখল করবে।