করোনা টিকা পেয়ে খুশি সৌদির প্রবাসীরা
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিতে স্তব্ধ বিশ্বে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। পৃথিবীর দেশে দেশে টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা দেশটিতে বিনা মূল্যে তাদের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদেরকেও দিচ্ছেন এ টিকা।
shafiq161189@gmail.com
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিতে স্তব্ধ বিশ্বে আশার আলো দেখিয়েছে টিকা। পৃথিবীর দেশে দেশে টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা দেশটিতে বিনা মূল্যে তাদের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীদেরকেও দিচ্ছেন এ টিকা।
কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই টিকার প্রথম ডোজ নিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেখানকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী সিলেটের কাপতান হোসেন জানান, রোববার করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তিনি। আগামী ১৫ জানুয়ারিতে দ্বিতীয়টা নিতে হবে।
অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে বিনা পয়সায় টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করায় সৌদি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বরগুনার আব্দুস সালাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ৷ করোনাভাইরাসের টিকা নিলাম। এত চমৎকার ব্যবস্থাপনা ও কর্তব্যরত সকলের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ সৌদি সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম চালান গত বুধবার সৌদি আরব পৌঁছায়। টিকা পাওয়ার পরদিনই তা দেওয়া শুরু করে দেশটি।
টিকা নেওয়ার জন্য লোকজনকে আগে নিবন্ধন করতে বলেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই আহ্বানের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় দেড় লাখের বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করে।
সৌদিতে প্রথমে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া। লোকজনকে আশ্বস্ত ও উৎসাহিত করতে তিনি এ টিকা নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে এই টিকা নিরাপদ।’
এরপর টিকা নেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
মধ্যপ্রাচ্যে বাহরাইনের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সৌদি আরব গত সপ্তাহে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে তারা বাহরাইনের আগেই এই টিকা পেয়ে তার প্রয়োগ শুরু করল।
তিন ধাপে টিকার কার্যক্রম পরিচালনা করবে সৌদি। প্রথম ধাপে ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী, করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা পেশাজীবী, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা টিকা পাবেন।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোগে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯১ জনের।
