করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসায় নেদারল্যান্ড
করোনা মোকাবিলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে।
করোনা মোকাবিলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ প্রশংসা করেন। জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয়ের এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, করোনা টিকা কার্যক্রম, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যেও সংসদে বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। চলমান করোনা মহামারি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিকল্প সহায়ক হতে পারে। প্রথম ধাপে সরকার সুশৃঙ্খলভাবে করোনা টিকা দেওয়া কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বর্তমানে টিকার আরো চাহিদা বিদ্যমান। করোনাকালীন অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দা বিরাজ করলেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করে বলেন, করোনা মোকাবিলা করে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগসমূহ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রথম পর্যায়ে করোনা টিকা দেওয়া কার্যক্রম বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নেদারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন।