কারাগারে হেফাজত নেতার মৃত্যু
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আটকের ঘটনায় ঘেরাও পরবর্তী ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন (৫০) কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আটকের ঘটনায় ঘেরাও পরবর্তী ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন (৫০) কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম। নিহত মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার বাবার নাম আবু সাঈদ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁ থানায় ৪টি মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আনা হয় মাওলানা ইকবাল হোসেনকে। পরে তিনি অসুস্থ থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বেশ কয়েকবার পাঠানো হয়েছিল।
পরবর্তীতে অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় ১১ মে ঢাকা জেলখানার মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা জেলখানায় ফোন করে জানতে পারি সেই লোকটি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সোনারগাঁ থানার দুই মামলায় গ্রেপ্তার হন হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেনসহ ৪ জন।
৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এক নারীসহ সোনারগাঁয়ের ‘রয়েল রিসোর্টে’ সন্দেহজনকভাবে স্থানীয় জনতা দ্বারা অবরুদ্ধ হন। পরে বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা রয়েল রিসোর্ট ভাঙচুরসহ এলাকায় তাণ্ডব সৃষ্টি করে। রয়েল রিসোর্ট ছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ঘটনার দিন সোনারগাঁ এলাকার একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়, জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে।
ওই সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশ সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের মাইকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেন।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি/এমআরএস