কারামুক্ত হলেন সম্রাট, হাসপাতালে থাকছেন আরও কয়েকদিন
সব মামলায় জামিন পাওয়ায় অবশেষে ৩২ মাস পর মুক্তি পেলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। মুক্তি পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ওয়ার্ডের সামনে থেকে প্রহরায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
সব মামলায় জামিন পাওয়ায় অবশেষে ৩২ মাস পর মুক্তি পেলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। মুক্তি পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ওয়ার্ডের সামনে থেকে প্রহরায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সম্রাটকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর পরই হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ড থেকে কারারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসা অব্যাহত থাকায় এখনই বাসায় ফিরছেন না তিনি।
বিএসএমএমইউ'র পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান বলেন, সম্রাট এখনো হাসপাতালের সিসিইউতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক পরামর্শ দেবেন আর কতদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
এর আগে সকালে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় তিন শর্তে জামিন পান সম্রাট। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান বুধবার সম্রাটের উপস্থিতিতে জামিনের আদেশ দেন। এর আগে দুই দফায় তার জামিন নাকচ করেছিলেন আদালত।
চার মামলায় জামিন হওয়ায় সম্রাটের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানান তার আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল। তিনি জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন তিনি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালত তাকে তিন শর্তে জামিন দিয়েছেন। তা হলো- অসুস্থতা বিবেচনা, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়া এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
এদিন সম্রাটের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও মাহবুবুল আলম দুলাল প্রমুখ। দুদকের পক্ষে বিশেষ পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ৯ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। আলোচিত ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।