কেন ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন ট্রুডো
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সব সময় নানান কারণে আলোচনায়। বিশ্বব্যাপী কারোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর দেশটিতে তার প্রভাব পড়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই তৎপর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায়। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সব সময় নানান কারণে আলোচনায়। বিশ্বব্যাপী কারোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর দেশটিতে তার প্রভাব পড়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই তৎপর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায়। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সম্প্রতি একটি ক্লিনিক পরিদর্শনের পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন তিনি। আর এই পোষ্টটি নিয়েই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় ট্রুডো।
সেই ফেসবুক পোস্টে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আজ সকালে অটোয়ায় একটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছিলাম। সেটিসহ সারাদেশে ক্লিনিকগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। এটি একটি সুসংবাদ। কারণ এর অর্থ আমাদের আরও অধিক সংখ্যক প্রিয়জনরা আরও বেশি নিরাপদ। আমরা সবাই এই মহামারির শেষ দেখার কাছাকাছি রয়েছি। যারা এই টিকাদানের প্রচেষ্টায় সহায়তা করছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আপনারা আমাদের দেশের সর্বকালের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম আমাদের দৃষ্টি এড়ায়নি।’
এদিকে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্যবহার স্থগিতের এক দিনের মাথায় ফাইজার ভ্যাকসিনের আরও পাঁচ মিলিয়ন ডোজ দ্রুত সরবরাহ পাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রুডো প্রশাসন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৪। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৮ জনের। শনাক্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কানাডার স্থান তালিকার ২৩ নম্বরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৯২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।