জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ৩ লাখ শিক্ষার্থী পেল অটোপাস
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ও এর কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদেরকে এই অটোপাস দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ও এর কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদেরকে এই অটোপাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ সালে অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছেন তাদের সবাইকে শর্তসাপেক্ষে ২য় বর্ষে প্রমোশন দিয়ে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছেন সর্বমোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৬ জন আর অনিয়মিত শিক্ষার্থী ১৯ হাজার ৫০ জন। এরা সবাই অর্থাৎ ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী অটোপাস পেয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হলেন। এর বাইরে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার জন্য আবেদন করা মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৫১ হাজার ১৫৯ জন। তাদের অটোপাস প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। পরে যখন আবার প্রথম বর্ষের লিখিত পরীক্ষা হবে তখন তারা মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেবেন।
প্রমোশন পাওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে- পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ১ম বর্ষের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি এই পরীক্ষায় অংশ না নেয় বা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রেগুলেশন অনুযায়ী ‘নট প্রমোটেড' হয় সেক্ষেত্রে তার শর্তসাপেক্ষে দেওয়া প্রমোশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট nu.ac.bd এ পাওয়া যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।
প্রকৌশল নিউজ/এমআর