ডোপ টেস্টে পজিটিভদের সরকারি চাকরিতে মানা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন, সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। ডোপ টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তিনি সরকারি চাকরি পাবেন না।

ডোপ টেস্টে পজিটিভদের সরকারি চাকরিতে মানা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন, সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। ডোপ টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তিনি সরকারি চাকরি পাবেন না।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্য নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)’ আয়োজিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী অন্তর্জাতিক দিবস ২০২১ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। ডোপ টেস্টে যদি পজিটিভ হন, তবে তিনি সরকারি চাকরি পাবেন না। শুধু নিয়োগ প্রার্থীরা না, যারা ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন আমরা তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি। বিশেষ করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন তাদের প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে যাদের আমরা পজিটিভ পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছি।

এই ভয়ঙ্কর নেশা থেকে বাচানোর জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০৩০ ও ২০৪১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ঢেলে সাজিয়েছি। আগে যেখানে তিন থেকে চারটি জেলা নিয়ে ছোট্ট একটি অফিস থাকত, এখন সেখানে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস রয়েছে। আমরা লোকবলও বাড়িয়েছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনও আমরা ঢেলে সাজিয়েছি।

এ সময় জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশের ফলে আমাদের তরুণ যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪৯ ভাগ মানুষ বয়সে তরুণ। মাদকের ব্যবসায়ীরা এই কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠীকে মাদকের ভোক্তা হিসেবে পেতে চায়। মাদকে আসক্তদের শতকরা ৮০ ভাগ কিশোর ও তরুণ, যা এরই মধ্যে গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন।

মাদকাসক্তদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগই ধূমপায়ী এবং তার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও খুনসহ রাজধানীতে সংঘটিত অধিকাংশ অপরাধের সঙ্গেই মাদকাসক্তির সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন মানসের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা প্রমুখ।