তারেক রহমানের নির্দেশনা মানছে না ছাত্রদল, পদপ্রত্যাশীদের অনশন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। সংগঠনের গতিশীলতা ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় নিশ্চিত করতে দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে এসময় প্রতীকী অনশন কমর্সূচি পালন করেছে তারা।
shafiq161189@gmail.com
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতারা সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। সংগঠনের গতিশীলতা ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় নিশ্চিত করতে দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে এসময় প্রতীকী অনশন কমর্সূচি পালন করেছে তারা।
শতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে শনিবার (৩০ জানুযারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মুতাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘দেশজুড়ে ছাত্রদলের চলমান বিশাল কর্মযজ্ঞে আমরাও শামিল হতে চাই, কাজ করার সুযোগ চাই। সংগঠনকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করার মাধ্যমেই সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে রুখে দিতে সক্ষম হবো।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার কারণে সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নিকট নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু গত ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করলে তাতে রাজপথের অনেক পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর ঠাঁই হয়নি। এতে বাদ পড়া নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এমতাবস্থায় দ্রুত কমিটি বর্ধিত হবে-ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের এমন আশ্বাসে দলের প্রতি ভালোবাসা এবং কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমরা সংগঠন এগিয়ে নিতে এবং গতিশীলতা আনতে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা আরো বলেন, ‘সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের চলমান হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মোকাবিলায় যেখানে সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন সেখানে আমাদের কাজ করার সুযোগের জন্য দাবি করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ২৪ মাস মেয়াদি কমিটির প্রায় ১৭ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা আজও কোনো সাংগঠনিক পরিচয় পাইনি।’
তারা বলেন, ‘করোনাপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গে সাক্ষাত করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবি জানিয়ে আসছি। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি আমরা লিখিতভাবে আমাদের দাবি কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট উপস্থাপন করি। কিন্তু বিশ্বাসের বিপরীতে বরাবরই আমাদেরকে হতাশ হতে হয়েছে। এমনকি ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনা সত্ত্বেও কোনো এক অজানা কারণে কেন্দ্রীয় সংসদ পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে না। সাংগঠনিক কোনো পরিচয় না পাওয়াতে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে আমাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’
প্রকৌশল নিউজ/এস
