না ফেরার দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু

বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর।

না ফেরার দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু

বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৫মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। 

মজিবুর রহমান দিলুর মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড় ভাই অভিনেতা আতাউর রহমান।

আতাউর রহমান বলেন, দিলু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আগে থেকেই ফুসফুসে সমস্যা ছিল। মূলত, নিউমোনিয়া অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সবার কাছে দিলুর জন্য দোয়া চাই। 

তিনি আরও জানান, জানাজা শেষে দিলুকে বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।

মজিবুর রহমাম দিলুর অভিনয় শুরু মঞ্চ দিয়ে। তাঁর উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।

১৯৭২ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন তিনি। ১৯৭৬ থেকে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। মাঝে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন দিলু। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো: ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’, ‘সংশপ্তক’ ইত্যাদি।

বিটিভিতে প্রচারিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সংশপ্তক’ নাটকে ‘বড় মালু’ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন মজিবুর রহমান দিলু। অনেকে তাঁকে ‘বড় মালু’ নামেই চেনেন।

দিলু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঢাকার ড্রামা নামে একটি নাট্যগোষ্ঠী। 

স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন দিলুও। ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান তিনি। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।