পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই লঞ্চ চলাচল বন্ধ
নৌ-দুর্ঘটনার একটি মামলায় ঢাকার মেরিন কোর্টে লঞ্চের দুই মাস্টারকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তারা এ কর্মসূচি দিয়েছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ জামিন যোগ্য মামলায় জামিন না হওয়ায় কর্ম বিরতি নিয়েছি।
নৌ-দুর্ঘটনার একটি মামলায় ঢাকার মেরিন কোর্টে লঞ্চের দুই মাস্টারকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তারা এ কর্মসূচি দিয়েছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ জামিন যোগ্য মামলায় জামিন না হওয়ায় কর্ম বিরতির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ২টা থেকে হঠাৎ করেই ঢাকা-বরিশালসহ দেশের সব দূরপাল্লার রুটে নৌযান ধর্মঘট শুরু করেছেন শ্রমিকরা। ইতিমধ্যে ঢাকা, চাঁদুপর ও বরিশাল ঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশের সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা আশিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রকৌশলনিউজকে বলেন, জামিন যোগ্য মামলায় জামিন না হওয়ায় শ্রমিকরা কাজ করছেন না।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী এডভেঞ্চার -৯ লঞ্চটি এ্যাডভেঞ্চার-২ এর সাথে ধাক্কা লাগে কিন্ত তাতে কোন হতাহত হয় নাই। এরপর কতৃপক্ষ দুই জাহাজের মাস্তলের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট স্থগিত করে। চারমাস স্থগিতের পর পরীক্ষা দিয়ে স্থাগিদেশ প্রত্যাহার করে। এ অবস্থায় আজ নৌ আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল, কিন্ত আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, মাস্টারের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নৌ শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা লঞ্চগুলো ঘাটের ওপর পাড়ে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
আশা করি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।