প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ আটক ৩
রাজধানীর নিউমার্কেট, তুরাগ ও শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৩৪০০পিস টেলিটক সিম উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর নিউমার্কেট, তুরাগ ও শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৩৪০০পিস টেলিটক সিমও উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের মূলহোতা মো. কাজী এম এম মাহামুদ ওরফে ছোটন (৩২), রাকিব হাসান (৩০) ও বাবর উদ্দিন (৩০)।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিউ মার্কেট থানাধীন এলিফ্যান্ট রোডের তালহা এন্টারপ্রাইজ নামে এক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ রাকিব হাসান ও বাবর উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিওআইপি কন্ট্রোল রুমের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের প্রধান কাজী এম এম মাহামুদ ছোটনকে আটক করা হয়।
এ সময় ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ১৯টি সিম বক্স ডিভাইস, ৪১৬টি জিএসএম এন্টেনা, ৩৪০০পিস টেলিটক সিম, সাতটি মিনি কম্পিউটার, তিনটি ওয়ারলেস রাউটার, পাঁচটি বাংলা লায়ন মডেম ও রাউটার, তিনটি ল্যাপটপ, একটি ল্যাপটপ কুলার, ১০টি বিভিন্ন চার্জার, ছয়টি ইউ এস বি মডেম, ১২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২৪টি কনসেল ক্যাবল, তিনটি খ্রি-প্ল্যাগ, চারটি মাল্টিপ্ল্যাগ, একটি মাউস, চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ সিও বলেন, বিটিআরসি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে চক্রটি প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল। এর ফলে সরকার দৈনিক প্রায় তিন লাখ টাকা এবং বছরে প্রায় ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছিলো।
আটকরা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ও ভিওআইপির যন্ত্রংশ ক্রয়-বিক্রয়কারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু চক্রটি কিভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকের ৩৪০০ সিম ক্রয় ও ব্যবহার করে আসছিল জানতে চাইলে র্যাব-১০ প্রধান বলেন, বিষয়টি র্যাব ও বিটিআরসির নজরে এসেছে। এটা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, তাদের এই ভিওআইপি কল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।