ফেসবুক প্রেমের সমাপ্তি ঘটলো ফ্যানে ঝুলে!
ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেম- এরপর সবার অজান্তেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে পালিয়ে গিয়ে পরিণয়। সবই হয়েছিলো একটু সুখের আশায়। হয়তো কাঙ্খিত সেই সুখটুকু জোটেনি টাঙ্গাইলের মেয়ে মিতুর (২০) কপালে! সে কারণেই তিনি তার ফেসবুক প্রেমের সমাপ্তি টেনেছেন ফ্যানে ঝুলে।
ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেম- এরপর সবার অজান্তেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে পালিয়ে গিয়ে পরিণয়। সবই হয়েছিলো একটু সুখের আশায়। হয়তো কাঙ্খিত সেই সুখটুকু জোটেনি টাঙ্গাইলের মেয়ে মিতুর (২০) কপালে! সে কারণেই তিনি তার ফেসবুক প্রেমের সমাপ্তি টেনেছেন ফ্যানে ঝুলে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ফুলজোড় গ্রামে নিজ ঘর থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফেসবুক প্রেমের সূত্র ধরে গত চার মাস আগে টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুন ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হিটলারের ছেলে জুবায়ের খান পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ছেলে জুবায়ের খানের পরিবার মেনে নিলেও মিতুর পরিবার মেনে নিতে অস্বীকার করে। এতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ ও অশান্তির সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার দুপুরের খাবার খেয়ে মিতু তার শয়ন কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে না ওঠায় স্বামীর পরিবারের লোকজন তার নাম ধরে একাধিকবার ডাকাডাকি করেন।
কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহবধূ মিতুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মিতুর স্বামী ও শ্বশুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে মিতুর মা সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর থানায় ওই দিন রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
প্রকৌশল নিউজ/এস