ভারতে করোনায় আরও ৩৮৭৯ জনের মৃত্যু
শনিবার (১৫ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৯ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৪ জনের। তার আগের দিন বুধবার দেশটিতে মারা গিয়েছিলেন ৪ হাজার ২০৫ জন।
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে।
তবে গত তিন দিন ধরে ভারতে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে কিছুটা নিম্নমূখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সেটিই জানান দিচ্ছে।
শনিবার (১৫ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৯ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৪ জনের। তার আগের দিন বুধবার দেশটিতে মারা গিয়েছিলেন ৪ হাজার ২০৫ জন।
একই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ১২৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০৭ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার ভারতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১২২ জন। তার আগের দিন বুধবার করোনায় নতুন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭২০ জন। ক্রমান্বয়ে শনাক্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় একটু স্বস্তির বাতাস বইছে ভারতীয় নাগরিকদের মনে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ভারতের দুই রাজ্য দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দিল্লিতে প্রথমবারের মতো দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কম দেখা গেছে শুক্রবার। ওই দিন রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে ‘করোনা পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫০৬ জন।
দিল্লির রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছেন, গত ১০ এপ্রিলের পর এই প্রথমবার দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের কম দেখা গেল।
পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রেও। প্রায় পুরো এপ্রিল ও মের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের ওপরে থাকলেও শুক্রবার সেখানে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজারের কম।
ভারতে সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তার পর বছর জুড়ে চলতে থাকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য মতে, ভারতে মোট ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জন। এখন পর্যন্ত ভারতে ২ কোটি ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩২৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভারত। তবে নেপালেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৬৯। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩১৪ জন মারা গেছেন।