মাউসে চাপ দিলেই টাকা, সেই রহিম রিমান্ডে
রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জাল টাকা তৈরি চক্রের দুই সদস্যের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে চক্রের অপর তিন সদস্যকে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জাল টাকা তৈরি চক্রের দুই সদস্যের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে চক্রের অপর তিন সদস্যকে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন অনুযায়ী কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন আবদুর রহিম শেখ ও হেলাল খান। আর কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন আবদুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু হাওলাদার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রন টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন এবং অপর আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোসসাজশে বিভিন্ন জালনোট প্রস্তুত করে প্রতিনিধির মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সু-কৌশলে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছিল। গ্রেপ্তার এই আসামিরা সহযোগী আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশি জাল নোট তৈরি করে বাজারজাত করে থাকে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে জব্দ করা জাল টাকা তৈরির সহযোগী, মদদদাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং জালনোট তৈরির কাজে সহযোগী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে আপাতত ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেনের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে মর্মে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
এর আগে সোমবার ভাটারায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, বিপুল পরিমাণ আঠা এবং বিভিন্ন ধরনের রংসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস