রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের ১০ পরামর্শ

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা একসঙ্গে বেশি যেমন খেতে পারেন না, আবার কমও খেতে পারেন না। সঠিক নিয়মে পরিকল্পনা করে পর্যাপ্ত ইফতার ও সেহরি খেতে হয় তাদের। তবেই থাকতে পারবেন সুস্থ। এ বিষয়ে ১০টি টিপস দিয়েছেন এনরাউট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট রাশেদা আফরিন মেরিনা। 

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের ১০ পরামর্শ

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা এক সঙ্গে বেশি যেমন খেতে পারেন না, আবার কমও খেতে পারেন না। সঠিক নিয়মে পরিকল্পনা করে পর্যাপ্ত ইফতার ও সেহরি খেতে হয় তাদের। তবেই থাকতে পারবেন সুস্থ। এ বিষয়ে ১০টি টিপস দিয়েছেন এনরাউট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট রাশেদা আফরিন মেরিনা। 

ডায়াবেটিস ও রোজা: ১০টি টিপস 
ডায়াবেটিস রোগীরাও ইফতার শুরু করতে পারেন খেজুর দিয়ে। তবে সরাসরি চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেহেতু অনেক ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপও থাকে, তাই ভাজাপোড়াও কম খেতে হবে।

চিনিযুক্ত শরবতের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ফলের রস যেমন বেল, তরমুজ, পাকা আম, পাকা পেঁপে বা মাল্টার রস চিনি ছাড়া খাওয়া যেতে পারে।

ইফতারে আঁশযুক্ত খাবার যেমন খেজুর, বিভিন্ন রকম সালাদ এবং ফল অবশ্যই রাখতে হবে। এগুলো রক্তে সুগারের পরিমাণ খুব বেশি বাড়ায় না।

সেহরিতে আমিষের ভালো উৎস যেমন ডিম, ডাল, মাছ বা মুরগির মাংস রাখা যাবে। গরুর মাংস সপ্তাহে ১-২ বারের বেশি খাওয়া উচিত নয়।

ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে সব ধরনের সবজি খেতে পারবেন। তবে শাক জাতীয় খাবার রাতে না খাওয়াই উত্তম। এতে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রোজা রেখে কখনই আগের মাত্রার ওষুধ বা ইনসুলিন নেবেন না। নিজে নিজে ওষুধ সমন্বয় করবেন না। ডোজ কমানোর আগে প্রয়োজনে ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সেহরির নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে ও মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার গ্রহণ করুন। ইফতার করতে দেরি করবেন না।

ডায়াবেটিস রোগীরা ইফতারে অতিভোজন বা সাহরিতে কম খাবেন না। অনেকে একগ্লাস পানি খেয়েও রোজা রাখেন। ডায়াবেটিস রোগীরা এ কাজ করলে ইফতারের আগেই হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।

রোজা রাখা অবস্থায় ইনসুলিন নেওয়া যায়। তাই ইফতারের নির্ধারিত সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে ইনসুলিন নিন।

যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, তারা রোজা রাখলে হাতের কাছে সবসময় গ্লুকোজ মেশানো পানি রেখে দিন। রক্তে সুপারের মাত্রা অতিরিক্ত কমে এলে এবং শরীর মাত্রাতিরিক্ত দুর্বল লাগলে তাৎক্ষণিক রোজা ভেঙে ফেলুন।