সেনাদের সুরক্ষায় আমেরিকার যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানে
নিজেদের সেনাদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে নতুন করে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা। পাঠানো ১৮টি বিমানের মধ্যে ছয়টি বি-৫২ লংরেঞ্জ বোমারু বিমান ও ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
নিজেদের সেনাদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে নতুন করে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা। পাঠানো ১৮টি বিমানের মধ্যে ছয়টি বি-৫২ লংরেঞ্জ বোমারু বিমান ও ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর দেশটিতে চোরাগুপ্তা হামলা শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। এতে করে প্রতিদিনই ঘটছে হতাহতের ঘটনা। দেশটিতে থাকা অবশিষ্ট আমেরিকান সেনাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে দেশটিতে মোতায়েন সামরিক জোট ন্যাটোর সেনারাও দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।
এমন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে নতুন করে ছয়টি বি-৫২ লংরেঞ্জ বোমারু বিমান ও ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। দেশটির সামরিক প্রধানের বরাতে শুক্রবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানে থাকা অবশিষ্ট আড়াই হাজার মার্কিন সেনা এবং ১৬ হাজারের বেশি বেসামরিক ঠিকাদারকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অতিরিক্ত এসব সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, গত ১ মে মার্কিন সেনারা দেশে ফিরতে শুরু করার পর থেকে গোটা আফগানিস্তানে সহিংসতা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ফলে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার মুহূর্তে তাদের ওপর যে কোনো ধরনের হামলা ঠেকাতে যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (৯/১১) আল-কায়েদার যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়ঙ্কর হামলার পর ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তখন থেকে দেশটিতে রয়েছে মার্কিন সেনা।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী এই যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে চলতি মে মাসের মধ্যে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে একমত হয়ে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। কিন্তু সেই চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যহার করা হয়নি।
রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিদায়ের পর ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। তবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে তালেবানের ক্ষমতা দখল ও আবারও গৃহযুদ্ধ শুরুর শঙ্কার কথা বলছেন অনেকে।
গত কয়েক মাস ধরে আফগান সেনার সঙ্গে তালেবানের তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। মার্কিন সেনাদের দাবি, দিনে ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে তালেবান। তবে মার্কিন সেনাকে লক্ষ্য করে এখনো কোনো হামলা হয়নি বলে তাদের দাবি। তবে তারা সতর্ক থাকতে চাইছে।
প্রকৌশল নিউজ/সু