জানুয়ারির মাঝামাঝিই ভ্যাকসিন পেতে পারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিনের নীতিগত অনুমোদনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনতে গত ৫ নভেম্বর সরকার চুক্তি করছিল। আজ যুক্তরাজ্য সরকার সেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সুখবর। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে। সব মিলে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিই করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পেতে পারি'।
যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিনের নীতিগত অনুমোদনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনতে গত ৫ নভেম্বর সরকার চুক্তি করছিল। আজ যুক্তরাজ্য সরকার সেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সুখবর। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে। সব মিলে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিই করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন পেতে পারি'।
বুধবার মহাখালী বিসিপিএস অডিটরিয়াম হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া ব্লুমবার্গ কর্তৃক বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপি ২০-তম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থানের স্বীকৃতি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যেই গ্যাভী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আরো ৫-৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ না নেয়ায় ১৮ বছরের নিচে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং গর্ভবতী প্রায় ৩৫ লাখ নারীর ভ্যাকসিন দেয়া না লাগলে ৫-৬ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগেই দেশ অনেকটা নিরাপদ হবে বলে আশা করেন।
ব্লুমবার্গের স্বীকৃতিকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘ব্লুমবার্গ কেবল দেশের অর্থনৈতিক সফলতা দেখেই রিপোর্টটি করেনি। প্রতিষ্ঠানটি করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, টিকাদান সক্ষমতা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি মেট্রিক্স বিবেচনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে। কাজেই এই ফলাফল আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ফলাফলে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরো গতিশীলভাবে কাজে নেমে পড়তে হবে বলে উপস্থিত চিকিৎসকদের জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।