‘মিস ইউনিভার্স’ থেকে মিথিলা বাদ কেন?
‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলার নাম। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, লকডাউন ও ভ্রমণবাধ্যবাধকতার কারণে তারা নিজেরাই অংশ নেওয়া থেকে সরে এসেছেন।
‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী তানজিয়া জামান মিথিলার নাম। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, লকডাউন ও ভ্রমণবাধ্যবাধকতার কারণে তারা নিজেরাই অংশ নেওয়া থেকে সরে এসেছেন।
পাশাপাশি আরও দুটি কারণ জানালেন মিথিলা। এগুলো হলো ভ্যাকসিন না নেওয়া ও ন্যাশনাল কস্টিউম তৈরি না হওয়া। যার ফলে আগামী ৬ মে থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব সুন্দরীদের আসরে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
মিথিলা বলেন, ‘“মিস ইউনিভার্স ২০২০” অংশ নিতে না পারার অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথম কারণ হলো আমার ভ্যাকসিন নাই। দ্বিতীয়ত, আমরা ভিসার জন্য যে আবেদন করেছিলাম, লকডাউনের কারণে সে তারিখ ক্যানসেল হয়েছে। প্রি-প্রোডাকশন ভিডিও তৈরি হয়নি। এমনকি ন্যাশনাল কস্টিউমও তৈরি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমরা ন্যাশনাল কস্টিউমসহ কোনো ভিডিওর শুট করতে পারিনি। ভিসা আবেদনের আগে যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোর কিছুই করতে পারিনি। পরে তো ভিসা অফিস ভিসা ফেসের ডেটই বাতিল করেছে।’
মিথিলার বিরুদ্ধে বয়স লুকানো ও পুরুষ হয়রানি যে অভিযোগ এসেছে সেগুলো মিস ইউনিভার্সের তালিকা থেকে বাদ পড়ার কারণ নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
মিথিলার জানান, মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি প্রতিযোগীকে বাতিল করেনি। বরং ভিসা ফেস করতে না পারাসহ অন্যান্য কারণে বাংলাদেশই এবার প্রতিযোগী পাঠাতে পারছে না বলে তাদের জানিয়েছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ আজ সকালে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুকে পোস্ট করেছে। সেখানে লেখা- ‘লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা প্রস্তুতি শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এবারের আসরে অংশ নিতে পারছি না। বিষয়টি মূল আয়োজকদের এই সপ্তাহে জানানো হয়েছে।’
এর পাশাপাশি বিউটি পেজেন্টদের নিয়ে কাজ করা ‘সাশ ফ্যাক্টর’ নামের অনলাইন ম্যাগাজিনের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ- ২০২০’ তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে অনেক বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি বিউটি পেজেন্টরা মিথিলাকে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং তাকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য সাপোর্ট করছেন না। এ কারণে মিস ইউনিভার্স ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তার নাম।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস