অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে’ অংশ নিলেন দুই শতাধিক দৌড়বিদ।
জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে’ অংশ নিলেন দুই শতাধিক দৌড়বিদ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার ভোর ৬টায় ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনই ২০২১ সালের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠান। ক্রীড়া ক্ষেত্রে এই ইভেন্ট একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, বাহরাইন, বেলারুশ, ইউক্রেন ও মরক্কো থেকে রানার এবং মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, লেসেফো, স্পেন থেকে সাফ রানারসহ মোট ৩৭ জন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেট এই ম্যারাথনে অংশ নেন।
এ ম্যারাথনের আয়োজন করায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ফুল ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন এবং ডিজিটাল ম্যারাথন এই তিন ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন হয়।
ফুল ম্যারাথনে (৪২.১৯৫ কিলোমিটার) দেশি-বিদেশি ১০০ জন দৌড়বিদ এবং হাফ ম্যারাথনে (২১.০৯৭ কিলোমিটার) ১০০ জন অংশ নেন।
বিদেশি দৌড়বিদদের মধ্যে ‘এলিট’ শ্রেণিতে ১৭ জন ও ‘সাব এলিট’ শ্রেণিতে ১২ জন দৌড়ান।
বাংলাদেশের সাধারণ দৌড়বিদদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরাও ম্যারাথনে অংশ নেন।
ভোর সাড়ে ৬টায় আর্মি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হওয়া এই ম্যারাথন বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, গুলশান-২ চত্বর, গুলশান-১ চত্বর হয়ে হাতিরঝিলে যায়। সেখানে দুই চক্কর ঘুরে হাফ ম্যারাথন ও পাঁচ চক্কর ঘুরে ফুল ম্যারাথন শেষ হয়।
বেলা ১১টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
হাফ ও ফুল ম্যারাথনের পাশাপাশি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ম্যারাথনের আয়োজন করেন আয়োজকরা, যাতে দেশ-বিদেশের যে কেউ নিবন্ধন করে তার সুবিধাজনক স্থানে ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ।
ডিজিটাল ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়। দেশি দৌড়বিদদের জন্য ১০০ ও ২০ টাকা এবং বিদেশি দৌড়বিদদের জন্য ৫ ডলার নিবন্ধন ফি রাখা হয় তাতে।
ফুল ম্যারাথনে পুরুষ ও নারী বিদেশি ‘এলিট’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ১৫ হাজার ডলার করে, রানার আপ ১০ হাজার ডলার করে, তৃতীয় ৫ হাজার ডলার করে, চতুর্থ ৪ হাজার, পঞ্চম তিন হাজার, ষষ্ঠ ২ হাজার, সপ্তম স্থান অর্জনকারী ১ হাজার ডলার করে পুরস্কার ছিল।
সার্কভুক্ত দেশ ও বাংলাদেশের পুরুষ ও নারী দৌড়বিদদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নরা ৫ লাখ টাকা করে, রানার আপ ৪ লাখ টাকা করে, তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ৩ লাখ করে, চতুর্থ স্থান অর্জনকারী ২ লাখ এবং পঞ্চম স্থান অর্জনকারীর জন্য পুরস্কার ছিল ১ লাখ টাকা ।
আর হাফ ম্যারাথনে পুরুষ এবং নারী দুই বিভাগেই বিদেশি ‘এলিট’ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ২ হাজার ৭০০ ডলার, রানার আপ ১ হাজার ৫০০ ডলার, তৃতীয় হওয়া দৌড়বিদের জন্য পুরস্কার ছিল ৭৫০ ডলার।
বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন আড়াই লাখ টাকা করে, রানার আপ দুই লাখ করে, তৃতীয় দেড় লাখ করে, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থান অর্জনকারীর জন্য পুরস্কার ১০ হাজার টাকা।