অপহরণের চারদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে শিশুটি বল খেলছিল। পরবর্তীতে একটি খালি রিকশায় ওঠে সেই শিশু। রিকশা চালক রিকশা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে সেই শিশুর কোন খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে অপহরণের চার দিন পর সেই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাঁচ বছর বয়সের শিশুটির নাম জিসানুল ইসলাম আকাইব।

অপহরণের চারদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে শিশুটি বল খেলছিল। পরবর্তীতে একটি খালি রিকশায় ওঠে সেই শিশু। রিকশা চালক রিকশা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে সেই শিশুর কোন খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে অপহরণের চার দিন পর সেই শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাঁচ বছর বয়সের শিশুটির নাম জিসানুল ইসলাম আকাইব।

রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়া এলাকা থেকে ৬ আগস্ট বিকালে নিখোঁজ হয়ে যায় জিসান। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখার পর শিশুটির পিতা পরদিন খিলগাঁও থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। সোমবার দুপুরে নন্দীপাড়া এলাকার একটি পাঁচ তলা বাড়ির নির্মানাধীন ২য় তলার ফ্ল্যাট থেকে জিসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিশুর বাবা আব্দুল মালেক অভিযোগ করেছেন, কারা তার বাচ্চাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, বাচ্চা নিখোঁজের আধঘন্টার মধ্যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কারা ধরে নিয়ে গেছে, সে বিষয়ে ভিডিও ফুটেজও পুলিশকে দেওয়া হয়। পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি। পুলিশ যদি তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালাতো, তাহলে আমার বাচ্চাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারত।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, গত শুক্রবার বিকালে জিসান নিখোঁজ হয়। ভিডিও ফুটেজে আমরা দেখতে পেয়েছি, জিসান ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে তার বাসার সামনের রাস্তায় বল খেলছিল। বল খেলে একটা রিকশার কাছে এসে দাঁড়ায়। তারপর জিসান রিকশায় উঠে বসে। রিকশাওলা রিকশা চালিয়ে চলে যায়। পরে আর জিসানকে পাওয়া যায়নি। অপহরণের পরের দিন শনিবার জিসানের পরিবার একটা অপহরণ মামলা করে। জিসানের বাবা পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই। ওই রিকশাওয়ালাকে আমরা সন্দেহ করেছি। খুনিকে  শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে নন্দীপাড়ার একটি পাঁচতলা বাড়ির দোতালা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় একটা মরদেহ পাওয়া যায়। পরে জিসানের বাবা-মা তাদের সন্তানের মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা  মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ তলা ওই বাড়ির নীচতলায় রিকশার গ্যারেজ। দোতালায় দরজা জানালা লাগানো হয়নি। ফলে দোতালায় কেউ থাকেন না। তৃতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। তবে ভিডিও ফুটেজে দেখা ওই রিকশাচালককে শনাক্ত করা যায়নি। তার মাথায় ক্যাপ পরিহিত ছিল বলে মুখের অবয়ব স্পষ্ট দেখা যায় না। ঘাতককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস