একনেকে ৪ হাজার ৬২১ কোটি টাকা ব্যয়ে দশ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪ হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দশ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সংস্থান হবে ৩ হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

একনেকে ৪ হাজার ৬২১ কোটি টাকা ব্যয়ে দশ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪ হাজার ৬২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দশ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সংস্থান হবে ৩ হাজার ৫৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে  ১ হাজার ৫৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন।

সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী  একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সারের চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন করতে গেলে গ্যাসের সংকট হয়। ফলে বিদেশে সার কারখানা নির্মাণে দেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারবেন। সেই সার দেশে ব্যবহার করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনাটা বেসরকারি খাত উন্মোচন করতে পারে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এদিন একনেক সভায় ৭২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, হাওরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওর এলাকায় পিলারের সাহায্যে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে হবে। এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-নেত্রকোনা-বিশিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা সেনানিবাস বরিশাল স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুরের এপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর এবং যশোর জেলায় বিটাকের ৬টি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।