জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টিতেই নাজেহাল রাজধানীবাসী!

মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভারী বর্ষণ দেখেছে রাজধানীবাসী। যদিও বাংলা পঞ্জিকার হিসাব মতে এখনো জ্যৈষ্ঠ মাস। আষাঢ় মাস মানে বর্ষাকাল আসতে এখনো বেশ কিছু সময় বাকি। কিন্তু এই জ্যৈষ্ঠ মাসের বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা । পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর মানুষ।

জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টিতেই নাজেহাল রাজধানীবাসী!
ফাইল ছবি

মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভারী বর্ষণ দেখেছে রাজধানীবাসী। যদিও বাংলা পঞ্জিকার হিসাব মতে এখনো জ্যৈষ্ঠ মাস। আষাঢ় মাস মানে বর্ষাকাল আসতে এখনো বেশ কিছু সময় বাকি। কিন্তু এই জ্যৈষ্ঠ মাসের বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা । পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর মানুষ।

মতিঝিল, বংশাল, পল্টন, রাজারবাগ, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মিরপুর, এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগের চিত্র ।

দিনের শুরুতেই রাজধানীবাসীর ঘুম ভাঙে বৃষ্টির শব্দে। আলো ছড়াতেই রাস্তায় ভিড় জমান কর্মজীবীরা। শুরু হয় দুর্ভোগ। অলিগলির হাঁটু কিংবা কোমরপানিতে ছিল না রিকশা। গাড়িও বের হতে পারেনি অধিকাংশ রাস্তায়। অনেক জায়গায় অধিক পানিতে যানবাহন বিকল হতে দেখা গেছে। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

বৃষ্টির কারণে সূত্রাপুর থানার আশপাশে সকাল থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে লোকজন বাসা থেকে বের হতে পারছিলেন না। অনেকেই রাস্তা পার হওয়ার জন্য বাসার গেটের সামনে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। একটি রিকশা এলেই হাঁকডাক শুরু হয়। কে কার আগে যাবে তার প্রতিযোগিতা। আর এ সুযোগে রিকশাওয়ালারাও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। আবার ৩০ টাকার রিকশা ভাড়ার দূরত্বে সিএনজি অটোরিকশাকে দেড়শ টাকা দাবি করতেও দেখা যায়।

বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন গোলচত্বর, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে যায়। পানি জমার কারণে সাইলেন্সার পাইপে পানি ঢুকে অনেক যানবাহন সড়কেই অচল হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এসব এলাকার অলিগলি ভিতরেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়। সকাল থেকেই এসব এলাকার কর্মজীবী মানুষজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীতে সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি এবং ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকেলে কিছুটা কমে আসবে। কাল আবার আসবে। চট্টগ্রামে ১০৩ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআর