দ্বিতীয় টেস্টেও করোনা পজেটিভ খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টেস্টেও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তিনি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত আছেন এবং তার ফুসফুসেও কোন জটিলতাই নেই বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

দ্বিতীয় টেস্টেও করোনা পজেটিভ খালেদা জিয়া

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টেস্টেও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে তিনি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত আছেন এবং তার ফুসফুসেও কোন জটিলতাই নেই বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে উনি আগামী ৫/৬দিনের মধ্যে কোভিড সম্পূর্ণভাবে নেগেটিভ হয়ে যাবেন।

বাসায় অন্য যারা আক্রান্ত ছিল সবার পরীক্ষা করা হয়েছে। ম্যাডামসহ চারজন পজিটিভ আছেন। বাকীরা নেগেটিভ। তবে শারীরিকভাবে সবাই ভালো আছেন।

এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনিসহ কয়েকজন চিকিৎসক গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন।

তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডা. সিদ্দিকী বলেন, আজকে সবগুলো রিপোর্ট নতুন করে করা হয়েছে। ফিজিক্যালি ম্যাডাম খুব ভাল আছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার আজকে ১৮তম দিন। সে হিসেবে কোভিড জনিত ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার হয়ে গেছে। কোভিড সংশ্লিষ্ট যা কিছু হওয়ার কথা ছিল তা থেকে আশঙ্কামুক্ত। ওনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।

তিনি বলেন, যখন উনি(খালেদা জিয়া) বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় এসেছেন তারপরে একবছর উনি কোয়ারেন্টিনের মতোই ছিলেন। এই সময় আমরা ওনার কোনো পরীক্ষা করতে পারিনি, কারণ ওনার কোভিড সংক্রমণের ভয় ছিল। কিন্তু যেহেতু উনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছেন, তাই কোভিড রিলেটেড যেসব টেস্ট করা হয়েছে তার বাইরে আরও কিছু টেস্ট করা দরকার। যেগুলো আমরা আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে করা হবে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাকুর খান, ডা. মো. আল মামুন, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে রাত ১০টা ৫ মিনিটে ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ যান।

দুই চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আজকের করা পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। তারা দুই ঘণ্টারও বেশি সময় খালেদা জিয়ার বাসভবনে অবস্থান করেন।

গত ১১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। তার সঙ্গে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ বসবাস করা আরও ৮ জন করোনা আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজন করোনামুক্ত হয়েছেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসাও খালেদা জিয়ার সঙ্গেই করানো হচ্ছে।